নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রাণঘাতী করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত বরিশাল নগরীর মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত নগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার ও ফাঁড়ির ১৭ জন পুলিশ সদস্য করোনা সংক্রমনে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে আক্রান্ত ৩ পুলিশ সদস্য ইতি মধ্যে সুস্থ বৃহস্পতিবার রাতে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন। এসকল সদস্যদের ফিরে আসায় অন্যান্য সদস্যের মনোবল বাড়াতে ভিন্নধর্মী এক অভ্যর্থনার আয়োজন করেছেন ওসি নুরুল ইসলাম। নিদের্শনা দিয়েছেন করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে বাড়তি সতর্কতা মেনে মাঠে কাজ করার। এ সময় সহকর্মী অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাততালি দিয়ে কাজে ফিরে আসা ওই পুলিশ সদস্যদের অভিবাদন জানান।
থানা সূত্রে জানা যায়, কোতয়ালী মডেল থানার ১ জন সহকারী পুলিশ কমিশনার, ২ জন ওসি, ৪ জন এসআই, ৫ জন এএসআই ও ৫ জন কনস্টেবলসহ মোট ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ হোম আইসোলেশনে আছেন। এরমধ্যে ৩ জন পুলিশ সদস্য কনস্টেবল রন্টু চাকমা, কনস্টেবল মো: জাকির হোসেন ও কনস্টেবল নুরুজ্জামান পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পুনরায় কাজে ফিরেছেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকেই বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকে তৎপর ছিলো কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৭ জন পুলিশ সদস্য ও ৪ জন পুলিশ সদস্য’র পরিবার পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ১ মে থেকে ১৩ জুনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ওই ১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের সকলেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। এদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ সদস্য বরিশাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেন এবং তারা কাজেও ফিরে আসেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এলেও এতটুকু মনোবল হারাননি করোনাজয়ী এই তিন যোদ্ধা। এদিকে কাজে যোগদান উপলক্ষে উৎসাহ দিতে ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানে করোনা জয় করে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ওই ৩ জন পুলিশ সদস্য। তারা বলেন, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকেই বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকে তৎপর ছিলাম কোতয়ালীসহ ৪ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা ১৭ জন পুলিশ সদস্য পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হই। তবু পিছু হটেননি কেহ। সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞার পাশাপাশি করোনায় ভয় না পেয়ে, সতর্ক হওয়ার পরামর্শ তাদের।
Leave a Reply